মুক্তিযোদ্ধা সিটিতে আপনাকে স্বাগতম

bike night rose model

প্রকল্পের নামকরণ:
প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে “মুক্তিযোদ্ধা সিটি”। কারণ ঐ মুক্তিযোদ্ধা নামের সাথে রয়েছে বাঙালী জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, আবেগ-অনুভূতি, শোষণ-নিপীড়ন এবং সর্বোপরি বিজয়ের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস। তাই বাঙালী জাতির একান্ত সম্পদ বলতে কিংবা অহংকার করার মত নিজ্বস্ব সত্তা বলতে মুক্তিযুদ্ধকে বুঝায়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিসীম গুরত্ব বহন করে। তাই এই প্রকল্পকে “মুক্তিযোদ্ধা সিটি” নামে নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো দেশকে ১১টা সেক্টরে ভাগ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সিটিকেও সেই আদলে ১১টা সেক্টরে রূপান্তর করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সিটিতে বিভিন্ন রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক বিল্ডিংসমূহ মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নামে নামকরণ করা হবে। এছাড়াও বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য সংবলিত তথ্যসমূহ মুক্তিযোদ্ধা সিটির প্রতিটি রাস্তায় রেঁস্তোরা, দেয়ালে দেয়ালে এবং অবকাশ যাপন কেন্দ্রসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় শোভা পাবে। খোদাই করে রাখা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরগাঁথা, অমর করে তুলে ধরা হবে বাঙালী জাতির পূর্ব পুরুষ, মাতা ও ভগ্নিদের আত্মত্যাগ ও বিশ্ব জয়ের ইতিহাস।

প্রকল্পের সুবিধাসমূহ:
মুক্তিযোদ্ধা সিটি অত্যান্ত সু-পরিকল্পিত দৃষ্টিনন্দন ইতিহাস ও ঐতিহ্যর সমন্বয়ের এক স্বপ্নময় স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা সিটির প্রবেশদ্বারে নির্মাণ করা হবে ‘ফাদার অব নেশন চত্বর’। বিশাল আকৃতির একটি গ্লোব সেখানে স্থান পাবে পৃথিবীর সমস্ত দেশের জাতির পিতার ছবি। মুক্তিযোদ্ধা সিটিরতে নির্মাণ করা হবে মনোমুগ্ধকর একটি তোরণ। ১নং সেক্টরকে বাণিজ্যিক সেক্টর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এবং বাকি ১০টি সেক্টর হবে আবাসিক। ১নং সেক্টরে স্থাপিত হবে বিশ্বমানের ইউনিভার্সিটি, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, বাংলা এবং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এন্ড কলেজ, গ্রন্থাগার, কোরআন রিসার্স সেন্টার, মসজিদ-মাদ্রাসা, গীর্জা, মন্দির, প্রাইমারি স্কুল, কিন্ডার গার্ডেন, আইটি পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, কবরস্থান, এবং আনুপাতিক হারে প্রতিটা সেক্টরে প্রাইমারী স্কুল, কিন্ডার গার্ডেন এবং মসজিদ স্থাপন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাতি-নাতনী এবং পোষ্যদের জন্য এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি/স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষা দান করা হবে।

যেহেতু পূর্বাচল একটি পরিকল্পিত নগরায়ন। তাই বিশ্বের আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর নিরাপদ বাসস্থান ও জীবন মান সহজতর করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সিটিতে স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম, সিগনাল ফ্রি ট্রাফিক সিস্টেম, স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম, স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্মার্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সোলার স্ট্রিট লাইট, সোলার হোম সলিউশন প্রযুক্তি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফেস ডিটেকশন টেকনোলোজি, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ‘ডগস্কোয়াড ও প্রাইভেট আমর্ড সিকিউরিটি ফোর্স। ডিজনিল্যান্ড, এমিউজমেন্ট পার্ক, অত্যাধুনিক শপিংমল, সুপার মার্কেট, কাঁচা বাজার, চেইন শপ, পাঁচ তারকা হোটেল, কনভেনশন হল, প্রশাসনিক ভবন, ব্যাংক-বীমা, এল পি জি হাউজ, নিজেস্ব পাওয়ার স্টেশন, অত্যাধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন সিস্টেম, প্লে-ফিন্ড, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ স্টেশন, পোস্ট অফিস এবং নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা বিধান করা সহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে মুক্তিযোদ্ধা সিটি তৈরী করা হবে। এছাড়াও ক্লোজ মার্কিট ক্যামেরা, জরুরী হট লাইন সেবা-১৯৭১।

মুক্তিযোদ্ধা সিটির চার ভাগের তিন ভাগ জায়গা গ্রীণ স্পেস হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এই সিটিকে ন্যাচারাল স্মার্ট পরিকল্পনার সমন্বয়ে ৭০ ভাগ সবুজায়ন করা হবে। একটি বিল্ডিংয়ের চারদিকেই পর্যাপ্ত আলো বাতাস পাবে। হাঁটার জন্য একাধিক খোলা জায়গা, চাহিদার তুলনায় শিশু কিশোরদের দ্বিগুণ খেলার মাঠ। এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় উক্ত প্রকল্পের চারদিকে স্বপ্নময় নীল জলরাশির কৃত্রিম লেক, লেকের তীরে বৈকালীন ও প্রাতঃকালীন ভ্রমণের জন্য রয়েছে ২০ ফিট প্রশস্ত ওয়াকওয়ে ও জগিংট্র্যাক। মুক্তিযোদ্ধা সিটিতে তিনটি ৩০০ ফিট রাস্তা সংযুক্ত হওয়ায় যোগাযোগের নতুন দিগন্ত সূচিত হয়েছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ ১০০ ফুট, ৮০ ফুট, ৪০ ফুটের প্রশস্ত রাস্তা, পর্যাপ্ত ফুটপাত, এবং লক্ষাধিক গাছের সমন্বয়ে বনায়ন করা হবে। প্রকল্পে সম্পূর্ণভাবে যানজট, কালোধোঁয়া, শব্দদূষণ, জলাবদ্ধতা এবং মশকমুক্ত এরিয়া হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে। সমস্ত ক্যাবেল যেমন: বৈদ্যুতিক লাইন, ইন্টারনেট লাইন, ডিস লাইন, গ্যাস লাইনসহ যাবতীয় ক্যাবল মাটির নিচে দিয়ে স্থাপিত হবে। প্রকল্পে অভ্যন্তরীণ বাহন এবং ঢাকা টু মুক্তিযোদ্ধা সিটি শাটল বাস সার্ভিস। এছাড়াও সেন্ট্রাল সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম চালু থাকবে।

অবস্থানগত সুবিধাসমূহ এবং প্রকল্পের আশেপাশে সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা:
মুক্তিযোদ্ধা সিটি কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে ১০ মিনিট এবং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ১৩ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। মুক্তিযোদ্ধা সিটির পাশেই আছে বিশ্বের অন্যতম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ব বৃহৎ সর্বাধুনিক ও সুপরিকল্পিত একটি নান্দনিক শহর রাজউক পূর্বাচল নিউ টাউন। মুক্তিযোদ্ধা সিটির ৫-৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়/বিদেশী দূতাবাস, শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম, ওয়াল্ড ব্যাংক বাংলাদেশের কার্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, আর্মি, নেভি এবং বিমান বাহিনীর জন্য নান্দনিক আবাসন ব্যবস্থা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১১১ তলা আইকনিক ট্রাই টাওয়ার, ৭১ তলা বিশিষ্ট লিবারেশন টাওয়ার, ৫১ তলা বিশিষ্ট ল্যাংগুয়েজ টাওয়ার। ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার। এছাড়াও বিভিন্ন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী, রাজউক অফিসসহ সরকারী, বেসরকারী, আধাসরকারী অফিস অতি শীঘ্রই স্থানান্তর হচ্ছে। নভোঃ থিয়েটার, থ্রিডি থিয়েটার, প্লানেটরিয়াম, ওয়ার ওয়ার্ল্ড, অত্যাধুনিক মিউজিয়ামসহ নানাবিধ স্থাপনা ও আধুনিক সভ্যতার মিলন মেলায় পরিণত করতে থাকবে বিনোদনের বহুমুখী উপকরণ। মুক্তিযোদ্ধা সিটির চারপাশ থেকেই যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকবে এবং তিনটি ৩০০ ফিট রাস্তার সাথে সরাসরি সংযুক্ত যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে। এছাড়াও মেট্রোরেল স্টেশন, পাতালরেল স্টেশন, ওয়াটার বাসসহ নানাবিধ যাতায়াতের উন্মুক্ত স্থান। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সিটিতে থাকছে এন্ট্রি ও এক্সিটের ব্যবস্থা।

প্রকল্পের অবস্থান:
পূর্বাচল উপশহরের কাঞ্চন ব্রিজের পাশে, পূর্বাচল ও জাইকার সাথে সংযুক্ত ৩০০ ফিট রাস্তার সাথে। মুক্তিযোদ্ধা সিটির দক্ষিণে ইউএস বাংলার পরিকল্পিত নগরী, উত্তরে পুলিশ হাউজিং ফেইজ-টু। পশ্চিমে পূর্বাচল নগরী এবং পূর্বে জাপান ইকোনিমিক জোন। প্রকল্পটি পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। এবং প্রকল্পটি বন্যা মুক্ত। আমরা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই প্রকল্প পরিবেশ এবং জলাবদ্ধতার জন্য হুমকি নয়।

মুক্তিযোদ্ধা র্সিটি সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী অভিজ্ঞ পরিবেশবিদ, দেশী-বিদেশী দক্ষ স্থপতি এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শের ভিত্তিতে, উন্নত বিশ্বের আদলে অর্ধেক স্বপ্ন আর অর্ধেক কল্পনাকে হার মানাবে। যা গ্রীণফিল্ড স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত হবে।আমরা প্রত্যাশা করি, আগামী প্রজন্মের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বার্থে আপনার সুচিন্তিত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হোক। একুশ শতকের আধুনিক ও স্বপ্নময় আয়োজনে স্ববান্ধবে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সিটি পরিদর্শন করতে আপনাদের আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

Arrow